আইএলও কনভেনশন ১৬৯ এবং জাতিসংঘের আদিবাসী বিষয়ক ঘোষনাপত্র
আইএলও কনভেনশন ১৬৯ এবং জাতিসংঘের আদিবাসী বিষয়ক ঘোষনাপত্র অনুযায়ী বাংলাদেশে অবশ্যই আদিবাসী জনগোষ্ঠী রয়েছে এবং আমরা সংবিধানিক ভাবে
“আদিবাসী” হিসেবে স্বীকৃত দেয়ার জন্য বারবার সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি।
বাংলাদেশ সরকারও জানে সত্যিকার অর্থে আদিবাসী কারা কিন্তু
তবুও আইএলও কনভেনশন ১৬৯ আর জাতিসংঘের
আদিবাসী বিষয়ক ঘোষনাপত্রকে অমান্য আর ভঙ্গ
করে আদিবাসী বলতে “আদি থেকে যারা বাস করে আসছে” “বাঙালীরাই প্রকৃত আদিবাসী”
এরকম মিথ্যা প্রচারনা চালিয়ে বিষয়টাকে ঘোলাটে
চেষ্টা করছে। বাংলাদেশ সরকার, কিছু উগ্র সাম্প্রদায়িক
বুদ্ধিজীবি, বাংলাদেশ আর্মি আর সেটেলারাদের সংগঠনগুলো এই বলে মিথ্যা প্রচারনা এবং প্রোপাগান্ডা ছড়াই যে,
আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি দিলে
“আদিবাসী” হিসেবে স্বীকৃত দেয়ার জন্য বারবার সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি।
বাংলাদেশ সরকারও জানে সত্যিকার অর্থে আদিবাসী কারা কিন্তু
তবুও আইএলও কনভেনশন ১৬৯ আর জাতিসংঘের
আদিবাসী বিষয়ক ঘোষনাপত্রকে অমান্য আর ভঙ্গ
করে আদিবাসী বলতে “আদি থেকে যারা বাস করে আসছে” “বাঙালীরাই প্রকৃত আদিবাসী”
এরকম মিথ্যা প্রচারনা চালিয়ে বিষয়টাকে ঘোলাটে
চেষ্টা করছে। বাংলাদেশ সরকার, কিছু উগ্র সাম্প্রদায়িক
বুদ্ধিজীবি, বাংলাদেশ আর্মি আর সেটেলারাদের সংগঠনগুলো এই বলে মিথ্যা প্রচারনা এবং প্রোপাগান্ডা ছড়াই যে,
আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি দিলে
“পার্বত্য চট্টগ্রাম বিচ্ছিন্ন হয়ে স্বাধীন হয়ে যাবে”
“পার্বত্য চট্টগ্রামে আদিবাসী ছাড়া বাঙালী জাতিগোষ্টি বসবাস করতে পারবেনা”
“পার্বত্য চট্টগ্রামে কোন মিলিটারি ক্যাম্প রাখা যাবেনা”।
এসব যে কি পরিমান ভুয়া এবং মিথ্যা যুক্তি হতে পারে তা বিশ্লেষন করলেই বুঝা যায়।
১) জাতিসংঘের আদিবাসীদের অধিকার বিষয়ক ঘোষনাপত্রে শুধুমাত্র ৪টি দেশ বিপক্ষে ভোট দেয় এবং বাংলাদেশসহ আরো ১০টি দেশ ভোটদানে বিরত থাকে। সম্প্রতি যে চারটি দেশ (যুক্তরাস্ট্র, নিউজিল্যান্ড, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া) বিপক্ষে ভোট দিয়েছিলো তারাও আগের অবস্থান থেকে সরে এসে আদিবাসীদের পক্ষে এসে দাড়িয়েছে। তারমানে গোটা বিশ্ব
যখন আদিবাসীদের অধিকার রক্ষা এবং স্বীকৃতি দিতে একতাবদ্ধ সেখানে বাংলাদেশ ঠিক তার উল্টো পথে হাটছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও উত্তর-পূর্ব রাস্ট্রগুলোতে (সেভেন সিস্টার) আদিবাসী রয়েছে এবং একটি সময় ভারত সরকারের সাথে সেই আদিবাসী জাতিগোষ্ঠী সমূহের সমঅধিকার এবং স্বায়ত্বশাসনের জন্য যুদ্ধ এবং পরে চুক্তিও হয়েছে। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ যদি এসকল বিষয় বিবেচনা করে তাদেরকে আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি দিতে পারে তাহলে বাংলাদেশ সরকারের সমস্যা কোথায়?
২) জাতিসংঘের আদিবাসী বিষয়ক ঘোষনাপত্রে আদিবাসীদের যেসব মৌলিক অধিকারসমূহ রয়েছে সেখানে কোথায় রয়েছে স্বাধীনতা বা বিচ্ছিন্নবাতীদার কথা?
এসব যে কি পরিমান ভুয়া এবং মিথ্যা যুক্তি হতে পারে তা বিশ্লেষন করলেই বুঝা যায়।
১) জাতিসংঘের আদিবাসীদের অধিকার বিষয়ক ঘোষনাপত্রে শুধুমাত্র ৪টি দেশ বিপক্ষে ভোট দেয় এবং বাংলাদেশসহ আরো ১০টি দেশ ভোটদানে বিরত থাকে। সম্প্রতি যে চারটি দেশ (যুক্তরাস্ট্র, নিউজিল্যান্ড, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া) বিপক্ষে ভোট দিয়েছিলো তারাও আগের অবস্থান থেকে সরে এসে আদিবাসীদের পক্ষে এসে দাড়িয়েছে। তারমানে গোটা বিশ্ব
যখন আদিবাসীদের অধিকার রক্ষা এবং স্বীকৃতি দিতে একতাবদ্ধ সেখানে বাংলাদেশ ঠিক তার উল্টো পথে হাটছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও উত্তর-পূর্ব রাস্ট্রগুলোতে (সেভেন সিস্টার) আদিবাসী রয়েছে এবং একটি সময় ভারত সরকারের সাথে সেই আদিবাসী জাতিগোষ্ঠী সমূহের সমঅধিকার এবং স্বায়ত্বশাসনের জন্য যুদ্ধ এবং পরে চুক্তিও হয়েছে। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ যদি এসকল বিষয় বিবেচনা করে তাদেরকে আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি দিতে পারে তাহলে বাংলাদেশ সরকারের সমস্যা কোথায়?
২) জাতিসংঘের আদিবাসী বিষয়ক ঘোষনাপত্রে আদিবাসীদের যেসব মৌলিক অধিকারসমূহ রয়েছে সেখানে কোথায় রয়েছে স্বাধীনতা বা বিচ্ছিন্নবাতীদার কথা?
মৌলিক অধিকারসমূহঃ
ক)আত্মনিয়ন্ত্রনের অধিকার
খ) ভূমি ও ভূখন্ডের উপর অধিকার
ক)আত্মনিয়ন্ত্রনের অধিকার
খ) ভূমি ও ভূখন্ডের উপর অধিকার
গ) আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর ভূমি ও ভূখন্ডের উপর সামরিক কার্যক্রম বন্ধের অধিকার
ঘ) সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও প্রথা চর্চার অধিকার
ঙ) মাতৃভাষায় শিক্ষা লাভের অধিকার
চ) আদিবাসীদের ভূমি ও ভূখন্ডের উপর থেকে তাদের জোরপূররবক উচ্ছেদ থেকে রেহাই পাওয়ার অধিকার
ছ) নিজস্ব ভাষায় নিজস্ব সংবাদ মাধ্যম প্রতিষ্ঠার অধিকার
ঝ) উন্নয়নের অধিকার প্রয়োগ করার জন্য অগ্রাধিকার তালিকা ও কর্মকৌশল নির্ধারন ও গ্রহনে অধিকার
ঘ) সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও প্রথা চর্চার অধিকার
ঙ) মাতৃভাষায় শিক্ষা লাভের অধিকার
চ) আদিবাসীদের ভূমি ও ভূখন্ডের উপর থেকে তাদের জোরপূররবক উচ্ছেদ থেকে রেহাই পাওয়ার অধিকার
ছ) নিজস্ব ভাষায় নিজস্ব সংবাদ মাধ্যম প্রতিষ্ঠার অধিকার
ঝ) উন্নয়নের অধিকার প্রয়োগ করার জন্য অগ্রাধিকার তালিকা ও কর্মকৌশল নির্ধারন ও গ্রহনে অধিকার
ঞ) নিজস্ব ঐতিহ্যবাহী ঔষধি এবং স্বাস্থসেবা সংরক্ষনে অধিকার
ট) স্বাধীন ও পূর্বাবহিত পূর্বক সম্মতি ব্যাতীত ছিনিয়ে নেয়া ভূমি, ভূখন্ড ও সম্পদের পুনরুদ্ধার ও ফেরত পাওয়ার অধিকার।
ঠ) নিজেদের নৃতাত্ত্বিক পরিচয়, উন্নয়ন ও প্রতিষ্ঠা নির্ধারন করার অধিকার।
সুতরাং যে খোড়া যুক্তি দেখিয়ে মিথ্যা প্রচার করে আমাদের
আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি দিতে সরকার অপারগতা জানাচ্ছে এটি রাস্ট্রের একটি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উপর অবিচার, বষ্ণনা, নিপীড়ন চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার উদ্যগ ছাড়া আর কিছু নয়।
আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি দিতে সরকার অপারগতা জানাচ্ছে এটি রাস্ট্রের একটি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উপর অবিচার, বষ্ণনা, নিপীড়ন চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার উদ্যগ ছাড়া আর কিছু নয়।
আদিবাসী কারা? আদিবাসী চিহ্নিত করার উপায় কি? বাংলাদেশের বেশীরভাগ মানুষ সাধারনত আদিবাসী বলতে আদি থেকে যার বাস করে আসছেন, যাদের নিজস্ব ভাষা রয়েছে তাদের বুঝেন, এজন্য দীপুমনি বাঙালীদেরই সত্যিকারের আদিবাসী বলে ঘোষনা দিয়েছিলেন। এমনকি আমাদের আদিবাসীদের মধ্যেও এ ব্যাপারে পরিষ্কার ধারনা নেই।
নীচে পুরো বিশ্বে স্বীকৃত জাতিসংঘ এবং আইএলও(ILO)এর কনভেনশন অনুযায়ী আদিবাসী কারা, কেন বাঙালীদের,
ইংরেজদের আদিবাসী বলা যাবেনা অথচ গারো, চাকমা,
মারমা, সাওঁতাল, খুমিদের আদিবাসী হিসেবে গন্য এবং চিহ্নিত
করা হবে, আদিবাসীদের বৈশিষ্ট্যই বা কি হওয়া উচিত নীচে ব্যাখ্যা করা হলোঃ
√ আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা(ILO)এর আদিবাসী এবং ট্রাইবাল জনগোষ্ঠী কনভেনশন ১৯৮৯(নং ১৬৯) অনুযায়ী
আদিবাসী হচ্ছে তারা যারা -
১) স্বাধীন দেশের আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে যাদের সামাজিক, সাংস্কৃতি ও অর্থনৈতিক অবস্থা জাতীয় জনসমষ্টির অন্য অংশ থেকে সতন্ত্র এবং যাদের মর্যাদা সম্পূর্ন কিংবা আংশিকভাবে তাদের নিজস্ব প্রথা কিংবা ঐতিহ্য অথবা তাদের
বিশেষ আইন বা বিধি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
২) স্বাধীন দেশসমূহের জাতিগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে যাদের আদিবাসী হিসেবে গন্য করা হয় এই বিবেচনায় যে তারা রাজ্য বিজয় কিংবা উপনিবেশ স্থাপনের কালে অথবা বর্তমান রাস্ট্রের সীমা নির্ধারনের কালে এই দেশে কিংবা যে ভৌগলিক ভূখন্ডে দেশটি অবস্থিত সেখানে বসবাসকারী জাতিগোষ্ঠীর বংশধর এবং তারা তাদের আইনগত মর্যাদা নির্বিশেষে তাদের নিজস্ব সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের আংশিক
বা সম্পূর্নরূপে অক্ষুন্ন রাখে।
নীচে পুরো বিশ্বে স্বীকৃত জাতিসংঘ এবং আইএলও(ILO)এর কনভেনশন অনুযায়ী আদিবাসী কারা, কেন বাঙালীদের,
ইংরেজদের আদিবাসী বলা যাবেনা অথচ গারো, চাকমা,
মারমা, সাওঁতাল, খুমিদের আদিবাসী হিসেবে গন্য এবং চিহ্নিত
করা হবে, আদিবাসীদের বৈশিষ্ট্যই বা কি হওয়া উচিত নীচে ব্যাখ্যা করা হলোঃ
√ আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা(ILO)এর আদিবাসী এবং ট্রাইবাল জনগোষ্ঠী কনভেনশন ১৯৮৯(নং ১৬৯) অনুযায়ী
আদিবাসী হচ্ছে তারা যারা -
১) স্বাধীন দেশের আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে যাদের সামাজিক, সাংস্কৃতি ও অর্থনৈতিক অবস্থা জাতীয় জনসমষ্টির অন্য অংশ থেকে সতন্ত্র এবং যাদের মর্যাদা সম্পূর্ন কিংবা আংশিকভাবে তাদের নিজস্ব প্রথা কিংবা ঐতিহ্য অথবা তাদের
বিশেষ আইন বা বিধি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
২) স্বাধীন দেশসমূহের জাতিগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে যাদের আদিবাসী হিসেবে গন্য করা হয় এই বিবেচনায় যে তারা রাজ্য বিজয় কিংবা উপনিবেশ স্থাপনের কালে অথবা বর্তমান রাস্ট্রের সীমা নির্ধারনের কালে এই দেশে কিংবা যে ভৌগলিক ভূখন্ডে দেশটি অবস্থিত সেখানে বসবাসকারী জাতিগোষ্ঠীর বংশধর এবং তারা তাদের আইনগত মর্যাদা নির্বিশেষে তাদের নিজস্ব সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের আংশিক
বা সম্পূর্নরূপে অক্ষুন্ন রাখে।
√ জাতিসংঘের মতে আদিবাসী তারাই যারা –
বহি আক্রমন বা উপনিবেশের আগে থেকেই নিজেদের এলাকা বা সীমানাই সমাজের অন্য অংশ থেকে নিজেদের আলাদা মনে করে। তারা বর্তমানে সেই সমাজের বা রাস্ট্রের কম কর্তৃত্বপূর্ন অংশ হিসেবে রয়েছে কিন্তু নিজেদের অঞ্চল বা সীমানা, নৃতাত্ত্বিক
স্বকীয়তা, সাংস্কৃতিক নমুনা, সামাজিক প্রতিষ্ঠান এবং বৈধ শৃঙ্খলা সংরক্ষন করতে, উন্নয়ন করতে এবং পরবর্তী প্রজন্মে সষ্ণারিত করতে বদ্ধ পরিকর।
স্বকীয়তা, সাংস্কৃতিক নমুনা, সামাজিক প্রতিষ্ঠান এবং বৈধ শৃঙ্খলা সংরক্ষন করতে, উন্নয়ন করতে এবং পরবর্তী প্রজন্মে সষ্ণারিত করতে বদ্ধ পরিকর।
√ আবার বিশ্বব্যাংক(The world bank)এর
মতে আদিবাসী হচ্ছে তারাই যাদের -
১) নির্দিষ্ট অষ্ণলের পূর্বসূরী এবং প্রাকৃতিক সম্পদের সাথে নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে
২) নিজস্ব জাতিসত্ত্বা সনাক্তকরন
৩) নিজস্ব আদি ভাষা যেটি রাস্ট্রীয় ভাষা থেকে ভিন্ন
৪) নিজস্ব সামাজিক এবং আইনগত প্রতিষ্ঠান
৫) প্রধানত subsistence-oriented(যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু) উৎপাদন।
মতে আদিবাসী হচ্ছে তারাই যাদের -
১) নির্দিষ্ট অষ্ণলের পূর্বসূরী এবং প্রাকৃতিক সম্পদের সাথে নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে
২) নিজস্ব জাতিসত্ত্বা সনাক্তকরন
৩) নিজস্ব আদি ভাষা যেটি রাস্ট্রীয় ভাষা থেকে ভিন্ন
৪) নিজস্ব সামাজিক এবং আইনগত প্রতিষ্ঠান
৫) প্রধানত subsistence-oriented(যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু) উৎপাদন।
আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এই তিনটি প্রতিষ্ঠানের কনভেনশন
বা আদিবাসীদের বৈশিষ্ট্য নিয়ে যে সংজ্ঞা সে অনুসারে বাংলাদেশের প্রধান জনগোষ্ঠি বাঙালী বাদে বাদ বাকী ৪৫টিরও অধিক আদিবাসী জনগোষ্ঠী রয়েছে।
বা আদিবাসীদের বৈশিষ্ট্য নিয়ে যে সংজ্ঞা সে অনুসারে বাংলাদেশের প্রধান জনগোষ্ঠি বাঙালী বাদে বাদ বাকী ৪৫টিরও অধিক আদিবাসী জনগোষ্ঠী রয়েছে।
উদাহারনস্বরূপ মারমারা কেন আদিবাসী? কারন মারমাদের ভাষা, সংস্কৃতি, অর্থনৈতিক অবস্থা মূল জনগোষ্ঠী বাঙালীদের থেকে ভিন্ন। মারমাদের সামাজিক প্রথা, ঐতিহ্য নিজস্ব আইন দ্বারা পরিচালিত(যেমন কারবারি, হেডম্যান, রাজা)। মারমারা মোঘল, ইংরেজ আমল থেকেই নিজেদের আলাদা মনে করে এবং বর্তমান বাংলাদেশে মারমাদের কর্তৃত্ব নেই এবং মারমারা নিজস্ব ভাষা, সামাজিক প্রতিষ্ঠান, আইন, প্রথা, ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে এবং পরবর্তী প্রজন্মে সষ্ণার করতে বদ্ধ পরিকর। তাছাড়া এখনো মারমা জুম চাষী (য়াসাাঃ) কৃষকরা subsistence-oriented(যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু) উৎপাদনে বিশ্বাসী।
Comments
Post a Comment