Posts

Showing posts from June, 2018

আইএলও কনভেনশন ১৬৯ এবং জাতিসংঘের আদিবাসী বিষয়ক ঘোষনাপত্র

আইএলও কনভেনশন ১৬৯ এবং জাতিসংঘের  আদিবাসী বিষয়ক ঘোষনাপত্র  অনুযায়ী বাংলাদেশে অবশ্যই  আদিবাসী জনগোষ্ঠী রয়েছে এবং আমরা সংবিধানিক ভাবে “আদিবাসী” হিসেবে স্বীকৃত দেয়ার জন্য বারবার সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি। বাংলাদেশ সরকারও জানে সত্যিকার অর্থে আদিবাসী কারা কিন্তু তবুও আইএলও কনভেনশন ১৬৯ আর জাতিসংঘের আদিবাসী বিষয়ক ঘোষনাপত্রকে অমান্য আর ভঙ্গ করে আদিবাসী বলতে “আদি থেকে যারা বাস করে আসছে” “বাঙালীরাই প্রকৃত আদিবাসী” এরকম মিথ্যা প্রচারনা চালিয়ে বিষয়টাকে ঘোলাটে চেষ্টা করছে। বাংলাদেশ সরকার, কিছু উগ্র সাম্প্রদায়িক বুদ্ধিজীবি, বাংলাদেশ আর্মি আর সেটেলারাদের সংগঠনগুলো এই বলে মিথ্যা প্রচারনা এবং প্রোপাগান্ডা ছড়াই যে, আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি দিলে  “পার্বত্য চট্টগ্রাম বিচ্ছিন্ন হয়ে স্বাধীন হয়ে যাবে”  “পার্বত্য চট্টগ্রামে আদিবাসী ছাড়া বাঙালী জাতিগোষ্টি বসবাস করতে পারবেনা”  “পার্বত্য চট্টগ্রামে কোন মিলিটারি ক্যাম্প রাখা যাবেনা”। এসব যে কি পরিমান ভুয়া এবং মিথ্যা যুক্তি হতে পারে তা বিশ্লেষন করলেই বুঝা যায়। ১) জাতিসংঘের আদিবাসীদের অধিকার বিষয়ক ঘোষনাপত্রে শুধুমাত্র ৪টি দে...

প্রাক সুলতানী আমল –মৌর্য বংশ--গুপ্ত বংশ--গৌড় বংশঃ

প্রাক সুলতানী আমল –মৌর্য বংশঃ 1. প্রশ্ন: প্রাচীন ভারতের সর্বপ্রথম সর্বভারতীয় সম্রাট কে ? উঃ চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য। 2. প্রশ্ন: মৌর্য সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা কে? উঃ চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য। 3. প্রশ্ন: সর্বশেষ মৌর্য সম্রাট কে? উঃ বৃহদ্রথ। 4. প্রশ্ন: দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের উপাধি কি ছিল? উঃ বিক্রামাদিত্য। 5. প্রশ্ন: চীনা বৌদ্ধ পন্ডিত হিউয়েন সাঙ ভারতে আসেন কোন রাজার আমলে ? উঃ হর্যবর্ধন। 6. প্রশ্ন: ভারত বর্ষ থেকে কোন রাজন্য গ্রীকদের বিতাড়িত করেন ? উঃ মৌর্য সাম্রােেজ্যর প্রতিষ্ঠাতা চন্দ্রগুপ্ত। 7. প্রশ্ন: চন্দ্রগুপ্ত কোন বংশের রাজাকে পরাজিত করে মগধ্ দখল করেন? উঃ নন্দবংশের শেষ রাজাকে। 8. প্রশ্ন: ইন্ডিকা (Indika) নামক বিবরনমুলক গ্রন্থের লেখক কে? উঃ মেগাস্থিনিস। 9. প্রশ্ন: ‘অর্থশাস্ত্র’ গ্রন্থটির লেখক কে ? উঃ কৌটিল্য। 10. প্রশ্ন: কৌটিল্য আসলে কে কে? উঃ চন্দ্রগুপ্তের প্রধান পরামর্শদাতা ও সাহায্যকারী চানক্য ও বিষ্ণুগুপ্ত। 11. প্রশ্ন: মৌর্য সাম্রাট অশোক কার পুত্র ? উঃ বিন্দু সারের। 12. প্রশ্ন: অশোক কলিঙ্গ জয়ে বের হন কত খ্রিষ্ট পূর্বাব্দে ? উঃ ২৬০ খ্রিস্ট পূর্বাব্দে। 13. প্রশ্ন: মৌর্য ...

প্রাক সুলতানী আমল-পাল বংশ--চন্দ্র বংশ--সেন বংশঃ

1. পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা কে? উঃ গোপাল। 2. গোপালের রাজত্বকাল কত ছিল? উঃ ৭৫০ থেকে ৭৭০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত ২০ বছর। 3. পাল বংশের রাজাগণ বাংলায় কত বছর রাজত্ব করেছেন? উঃ প্রায় চারশ বছর। 4. পাল রাজারা কোন ধর্মালম্বী ছিলেন? উঃ বৌদ্ধ। 5. বাংলার দীর্ঘস্থায়ী রাজবংশ কোনটি? উঃ পাল বংশ। 6. পাল বংশের শ্রেষ্ঠ রাজা কে? উঃ ধর্মপাল। 7. গোপালের পরে কে বঙ্গ দেশের সিংহাসনে আসীন হন? উঃ ধর্মপাল। 8. ধর্মপাল বৌদ্ধ ধর্মপ্রসারে কোন মন্দির স্থাপন করেন? উঃ ১০৭ মন্দির সম্পন্ন বিক্রমশীলা বৌদ্ধ বিহার,পাহাড়পুরের সোমপুর বিহার, ময়নামতি বিহার ইত্যাদি। 10. ধর্মপালের রাজত্বকাল কত ছিল? উঃ ৭৭০ থেকে ৮১০ খ্রিষ্টাব্দে পর্যন্ত ৪০ বছর। 11. নওগাঁ জেলার পাহাড়পুরে অবস্থিত ‘সোমপুর বিহার’ -এর প্রতিষ্ঠাতা কে? উঃ ধর্মপাল। 12. লৌসেন (Lausen) কে? উঃ রাজা দেবপালের (৮১০-৮৫০ খ্রিঃ) সেনাপতি। 13. ‘উদীয়মান প্রতিপত্তির যুগ’ বলা হয় কার শাসনামলকে? উঃ দেবপালের। 14. কবে পাল সাম্রাজ্যের বিলুপ্তি ঘটে ? উঃ ১১২৪ খ্রিষ্ঠাব্দে। চন্দ্র বংশ 16. চন্দ্রবংশের শাসনকাল কত শতক পর্যন্তু বিস্তৃত ছিল? উঃ ১০ম- ১১শ শতক। 17. চন্দ্রবংশের প্র...

একদিন হয়ত এভাবেই শেষ হবে

 মা,আমরা শুধু হাটঁছি কেন? আমাদের বাড়ি কোথায়? আমাদের বাড়ি ছিল,জায়গা ছিল,জমি ছিল কিন্তু তা সবই সেটালার বাঙ্গালীরা দখল করে নিয়েছে। মা,আমার বাবা কোথায়? ওরা তোমার বাবাকে মেরে ফেলেছে। মা,ঐ পাহাড়ে লোকগুলো কারা? তারা সেটালার।কিন্তু আমিতো শুনেছি একমাত্র আদিবাসীরাই জুমচাষ করতে পারে। ঠিকই শুনেছ তবে এখন তারা আমাদের জুম পাহাড়ে নতুন অতিথি যে অতিথিরা একবার আসলে আর ফিরে যায় না। মা,এই গোলাভরা ধান,পুকুরভরা মাছ এবং গোয়ালভরা গরু এগুলো কাদের? এগুলো আমাদের ছিল,আমাদের তাড়িয়ে তারা এখন সব ভোগ করছে। এই বাগানটি? এটাও আমাদের ছিল,ওরা দখল করে নিয়েছে। আর ওরা? ওরাতো আমাদের আদিবাসী! হ্যাঁ,তবে তারা আমাদের সমাজের দালাল। তারা টাকার বিনিময়ে সমাজকে বিক্রি করে দিয়েছে। রাষ্ট্র কাটাঁ দিয়ে কাটাঁ তুলতে এই দালালদের ব্যবহার করেছে।তুমি জান না ...! ৯৭ এর আগে জুম্ভ জনগনের অস্ত্র ছিল শোষক ও শাসিতের বিরুদ্ধে এবং কন্ঠ ছিল অন্যায়,অত্যাচার ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে। কিন্তু ৯৭ এর পরে.....! না,মা-যে জায়গাতে আমি জন্মগ্রহণ করেছি,যে সম্পত্তি আমার পিতৃপুরুষের,যারা তোমাকে বিধবা করেছে এবং নিজ দেশে থেকেও আমরা যে পরবাসী,ত...

বীর থামরাহ্’র লোককাহিনী

Image
মারমা সাহিত্যে সবচেয়ে বড় লোককাহিনি হচ্ছে বীর থামরাহ্’র কাহিনি। মারমা সংস্কৃতির বিলুপ্তপ্রায় সময়ে এ ধরণের হারিয়ে যাওয়া গল্পগুলো আমরা আবার ফিরিয়ে আনতে চাই। জীর্ণপ্রায় সাংস্কৃতিক উপাদানগুলো প্রাণ ফিরে পাক। এ কাহিনিটি খুব সংক্ষেপে বাংলায় তুলে ধরা হল: সিংজুগু রাজার ছেলে ওয়াগাহ আরেক রাজা মুফির মেয়ে পাইংগুমেকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। তাতে রাজা মুফি সম্মতি না দেওয়ায় রাজপুত্র ওয়াগাহ মুফি রাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। কিন্তু ওয়াগাহ অতিশয় ধার্মিক হওয়ার কারণে যুদ্ধের তীরগুলো সরাসরি সৈন্যদের দিকে না ছুঁড়ে আকাশের দিকে ছুঁড়লো। এতে তীরগুলো মুফি রাজার সৈন্যদের গায়ে না লাগায় তার বাবার ছোট ভার্য্যার পুত্র মাংখংকে যুদ্ধে সাহায্যের জন্য ডাকাহয়। মাংখং এমন যুদ্ধ করলেন যে শেষ পর্যন্ত মুফি রাজা তার কন্যাকে ওয়াগাহ’র হাতে তুলে দিতে রাজি হলেন। কিন্তু এবারে রাজপুত্রের সাথে মুফি রাজার মেয়ের বিয়েতে বাধা দিল মাংখং। যেহেতু তিনি যুদ্ধ করেছেন বলেই মুফি রাজাকে পরাজিত করা গেছে; সেহেতু রাজার মেয়ে পাইংগুমের সাথে রাজপুত্র ওয়াগাহর নয় মাংখংকেই বিয়ে দিতে হবে। যায় হোক, ওয়াগাহ এবং মাংখং এর বাবার ইস্তফায় মাংখংকে বিয়ে দেওয়া হল ...

এক নজরে খাগড়াছড়ি

১। আয়তনঃ ২,৬৯৯.৫৬ বর্গ কি.মি.। ২। নির্বাচনী এলাকাঃ ২৯৮ পার্বত্য খাগড়াছড়ি। ৩। সংসদীয় আসনঃ ০১টি। ৪। উপজেলাঃ ০৯ টি (খাগড়াছড়ি সদর, দীঘিনালা, পানছড়ি, মাটিরাঙ্গা, গুইমাড়া , মানিকছড়ি, মহালছড়ি, লক্ষ্মীছড়ি ও রামগড়)। ৫। থানাঃ ০৯টি। ৬। পৌরসভাঃ ৩টি (খাগড়াছড়ি, রামগড় ও মাটিরাঙ্গা)। ৭। ইউনিয়নঃ ৩৮টি। ৮। মৌজাঃ ১২১টি। ৯। গ্রামঃ ১,৩৮৮টি। ১০। জনসংখ্যাঃ ৫,১৮,৪৬৩ জন (পুরুষ-২,৭১,১৩১জন এবং মহিলা-২,৪৭,৩৩২জন) [২০০১ সালের আদম শুমারি অনুসারে]। (ক) উপজাতি-২,৬৯,৯০৪জন (৫২%)। [চাকমা-১,৪৬,০৪৫, মারমা-৫৫,৮৪৪, ত্রিপুরা-৬৭,৩৪২, অন্যান্য-৬৭৩] (খ) অ-উপজাতি-২,৪৮,৫৫৯ জন (৪৮%)। ১১। জনসংখ্যা ঘনত্বঃ প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ১৯২ জন। ১২। শিক্ষার হারঃ ৪৪.০৭% (পুরুষ-৫৪.১৯%,মহিলা-৩৩.৬২%)। ১৩। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গমনের হারঃ ৮৩%। ১৪। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানঃ ৫৪৭টি। (ক) কলেজ-৭টি। (খ) উচ্চ বিদ্যালয়-৭১টি (সরকারি-৫টি ও বেসরকারি-৬৬টি)। (গ) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়-৪২০টি (সরকারি-৩২০টি ও বেসরকারি-১০০টি)। (ঘ) কিন্ডার গার্টেন-০৯টি। (ঙ) মাদ্রাসা-১৩টি (মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড এর অধীন)। (চ) এবতেদায়ী মাদ্রাসা-২২টি। (ছ) অন্যান্...